তরুণ সমাজকে ডেঙ্গু নিধন ও সচেতনতায় সংযুক্ত করা যায় বলে জানিয়েছেন শ্যামলী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার। তিনি বলেন, যেভাবে তারা একটি দেশকে পরিবর্তন করে দিয়েছে, তাদের সংযুক্ত করলে এক্ষেত্রেও পরিবর্তন সম্ভব হবে।
Advertisement
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জাগো নিউজ আয়োজিত ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ: সচেতনতায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করে ‘ভিশন মশকিউটো কিলিং ব্যাট ডেঙ্গু সতর্কতা সিজন-৩’।
স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলস ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই রোগ যেন না হয় সেজন্য যারা প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে আছে, তাদের সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। এর সঙ্গে কর্মীদের প্রশিক্ষিত ও তদারকির মাধ্যমে কাজ করতে হবে।
দেশে আক্রান্ত না কমানো গেলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, আক্রান্ত যত বেশি হয় মৃত্যুও বেশি হয়। কিন্তু এ জায়গাটা কমছে না। তাই এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
Advertisement
প্রত্যেকটি হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নার খোলা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালেও আছে। আমাদের কাছে এলে আমরা সেবা দিচ্ছি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা দেরি করে আসায় সমস্যা বেড়ে যায়। এছাড়া অনেকে দেরি করে এসে ডেঙ্গুর এনএস১ পরীক্ষা করাচ্ছে, এতে তাদের ডেঙ্গু নেগেটিভ আসছে। এতে তারা ভাবছে তাদের ডেঙ্গু হয়নি বা নেই, নিশ্চিন্তে থাকে। তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নারী মৃত্যু কেন বেশি সে বিষয়ে তিনি বলেন, নারীরা এসব বিষয়ে উদাসীন, ঘরের কাজকর্ম, রান্নাবান্না করছে। গৃহিণীরা ঠিকভাবে নিজের খেয়ালও রাখছে না। এতে তারা হাসপাতালে দেরি করে আসে। এতে তাদের মৃত্যুও বেশি হচ্ছে। কিন্তু যদি দ্রুত হাসপাতালে এসে অসুস্থতা নির্ণয় হয়ে যায়, তখন তারা প্রপার চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে পারে।
জাগো নিউজের প্ল্যানিং এডিটর মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. গোলাম ছারোয়ার, জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক, চিফ রিপোর্টার ইব্রাহীম হুসাইন অভি, ভিশন ইলেকট্রনিক্সের ডেপুটি ব্র্যান্ড ম্যানেজার রেজওয়ানুল হক প্রমুখ।
এএএম/ইএ/জিকেএস
Advertisement