জাতীয়

কপিরাইট আইনের বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে

কপিরাইট আইনের বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি মোবাইল কোর্টের (ভ্রাম্যমাণ আদালত) মাধ্যমে দেওয়া যাবে। এজন্য ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’ এর তফসিলে ‘কপিরাইট আইন ২০২৩’ এর ১৪টি ধারা যুক্ত করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

Advertisement

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কপিরাইট আইনের ৮৬, ৮৭, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯১, ৯২, ৯৩, ৯৪, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ১০১ ও ১০৫ ধারার অপরাধের শাস্তি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দেওয়া যাবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অতিরিক্ত কপি মুদ্রণ ও প্রকাশনা, অননুমোদিত সম্প্রচার, অননুমোদিত সম্পাদন, অবৈধভাবে সম্পাদন, কপিরাইট সমিতি কর্তৃক রিটার্ন দাখিল না করা, চলচ্চিত্রের কপি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে জমা না দেওয়া, বাধ্যতামূলক লাইসেন্স ব্যবহার না করা, অবৈধভাবে পুস্তক বা সাময়িকী প্রকাশের শাস্তি দেওয়া যাবে।

এছাড়া পুস্তকের কপি, সাময়িকী বা সংবাদপত্রের কপি জাতীয় গ্রন্থাগারের জমা না দেওয়া; কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী না হয়ে তা প্রকাশ, পরিবেশন বা সম্পাদন; স্বত্বাধিকারী না হয়ে বা যে পরিমাণ স্বত্ব দেওয়া হয়েছে এর অতিরিক্ত স্বত্বের মালিকানা প্রয়োগ; পাণ্ডলিপির মূল কপি বা প্রকাশিত বা মুদ্রিত গ্রন্থের বিক্রি বা পুনঃ বিক্রি বাবদ প্রাপ্ত অর্থের নির্ধারিত অংশ না দেওয়া; কপিরাইট রেজিস্টারে মিথ্যা তথ্য সন্নিবেশ এবং অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপি দখলে রাখার শাস্তি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দেওয়া যাবে।

Advertisement

আরএমএম/এমআইএইচএস/জিকেএস