দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের সংকট যদি হয়, রাজনৈতিক সংকট যদি হয়, সেই সংকটের পিছে কী শক্তি আছে সেটা আমাদের আগেই অ্যানালাইসিস করতে হবে। বিপ্লবের পরে বিপ্লবের ফসল ছিনতাই হয়ে যায় নাকি সেটা চিন্তা করতে হবে। রাষ্ট্রীয় সংকট যাতে সৃষ্টি না হয়, সাংবিধানিক সংকট যাতে সৃষ্টি না হয়, সেই সংকট সামনে রেখে পতিত ফ্যাসিবাদ যাতে সুযোগ নিতে না পারে- সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীতে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ মতবিনিময় সভা করে জামায়াতে ইসলামী।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নেই। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ জনতার দাবি। এ সিদ্ধান্ত সারা দেশে প্রশংসিত হয়েছে, সবাই গ্রহণ করেছে। তবে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে।’
Advertisement
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা জনতার দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গুলি করে ছাত্র মারার পর আওয়ামী লীগ আবার এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাবে কি না তা জনতার আদালতে সিদ্ধান্ত হবে। ট্রাইব্যুনালে একটা সংশোধনী আনার কথা শুনছি। সংগঠন হিসেবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে যদি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয় তাহলে রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের বিচার হবে। সেই সংশোধনী যদি আইনে আনে এবং ট্রাইব্যুনালে যদি বিচার হয় সেই বিচারের ফলাফল কী হয় তখন দেখা যাবে। আমরা এখন কোনো ফয়সালা দিতে চাই না। গণহত্যাকারী কোনো দল বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি না তা আদালত ও দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রশাসনিক আদেশে বা আমি-আপনি চাইলে কেউ নিষিদ্ধ হোক সেই দায়িত্ব আমরা নিতে চাই না। দেশের জনগণ যদি চায় তাহলে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল হিসেবে সিদ্ধান্ত নেবে।’
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর। এতে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এএএম/কেএসআর/জিকেএস
Advertisement