বর্তমানে অনেকেই লাভ ম্যারেজ করেন। এক্ষেত্রে দুজনের মধ্যকার বোঝাপোড়া যেমন জরুরি ঠিক তেমনই পরিবারের সদস্যদেরও মতামত নেওয়া জরুরি। আবার পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হলেও পাত্র ও কনে একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছুদিন সময় কাটান। যাতে একে অন্যের সম্পর্কে জানতে পারেন। দেখা গেছে, বিয়ের আগের কয়েকটি ভুল সম্পর্কের উপর চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। জেনে নিন কোন ভুলগুলো করবেন না-
Advertisement
প্রেম করে বিয়ে করার ক্ষেত্রে পরিবারিক ঝামেলা হতেই পারে। এক্ষেত্রে দুই পরিবারের মধ্যে কারও হয়তো একে অপরকে পছন্দ নয়। তবে সেক্ষেত্রে একটু সময় দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। এসব বিষয় নিয়ে যদি আপনি সঙ্গীর সঙ্গেই ঝামেলা বাধিয়ে নেন, তাহলে তো সমস্যা আরও বাড়বে।
আবার অনেকেই সম্পর্ক না মানার কারণে নিজের পরিবারের সঙ্গেই বিরোধ ও ঝগড়া করেন। তবে বিয়ের আগে এমনটা করা একেবারেই উচিত হবে। মাথা গরম না করে বরং ঠান্ডা রেখে পরিবারকে মানানোর চেষ্টা করতে হবে।
অনেকেই একে অন্যের পরিবারকে দোষারোপ করেন। দেখা যায়, সম্পর্কে থাকা দুজন মানুষ একে অপরের পরিবারকে সম্মান করছেন না। সম্পর্ক যতই গভীর হোক না কেন সঙ্গীর পরিবারকে নিয়ে খারাপ মন্তব্যের কারণে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
Advertisement
আরও পড়ুন
দাড়ি-গোঁফে খুশকি হলে কী করবেন? আপনার হতাশার কারণ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ নয় তো?তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন। বিয়ের আগে সঙ্গীর পরিবার নিয়ে তার সঙ্গে কোনো খারাপ কথা নয়। বরং তাদের সম্পর্কে ভালো কথা বলুন। সঙ্গীকে বুঝিয়ে দিন আপনি তাকে ও তার পরিবারকেও ভালোবাসেন।
বিয়ের রীতিনীতি মানুনএকেক অঞ্চলের বিয়ের রীতিনীতি একেক রকম। বিয়ের এই নিয়ম সম্পর্কে একমত হওয়াও জরুরি। এক্ষেত্রে দুই পরিবার একসঙ্গে বসে আগে থেকেই কথা বলা উচিত। এসব ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হতে পারে। তাই পাত্র ও পাত্রীকে ঠান্ডা মাথায় এসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে পরিবারকে বোঝাতে হবে।
সঙ্গীকে দোষারোপ করবেন নাসঙ্গীকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করবেন না। ভুল সবারই হয়। তাই বলে অযথা কোনো বিষয়ে সঙ্গীকে দোষারোপ করবেন না। এর ফলে সম্পর্ক খারাপ হয়। বিয়ের আগে এই কয়েকটি বিষয়ে সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে।
Advertisement
জেএমএস/এমএস