দেশজুড়ে

বিটিসিএলের পরিত্যক্ত গুদামের ছাদ ধসে যুবকের মৃত্যু

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) গুদামের ছাদ ধসে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে টঙ্গীর মরকুন টিঅ্যান্ডটি কোলনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

মৃত ওই যুবকের নাম আমিন (২২)। তিনি টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি এলাকায় বাস করতেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধসে পড়া স্তূপের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন।

রোববার সকালে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনির পাশেই বিটিসিএলের একটি গুদাম রয়েছে। গত কয়েক মাস যাবত ওই গুদামে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায় লুটকারীরা। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিটিসিএলয়ের গুদামের পাশে কয়েকজনকে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর গুদামের একতলা ভবনের ছাদ ধসে পড়ার শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় ধসে যাওয়া ভবনের স্তূপের নিচে চাপা পড়া আমিন নামে ওই যুবকের চিৎকার শুনতে পান তারা। পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসে খবর পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। এ ঘটনায় অপর দুইজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ওই গুদামের দায়িত্বে থাকা আবুল কালাম বলেন, ধসে যাওয়া একতলা ভবনটি পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ। শনিবার দিবাগত রাতে কয়েকজন ব্যক্তিকে ওই গুদামের আশপাশে দেখা যায়। তারা গুদামটির কংক্রিটের ছাদ ভেঙে রড ও গুদামের মালামাল লুট করতে এসেছিল। ছাদ ধসে পড়লে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ সাজিদুল কবির জোয়ারদার বলেন, ভবনের ছাদ ধসে পড়ার খবর পেয়ে দুইটি ইউনিটের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। উদ্ধার শেষে এক ব্যক্তির নিথর দেহে পাওয়া যায়।

Advertisement

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমদ বলেন, ভবনের ছাদ ধসে পড়ার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। মরদেহটি থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমিনুল ইসলাম/এফএ/এমএস