জাপানে চলছে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির নাগরিকরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেতে পারে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বাধীন জোট। এর অন্যতম কারণ হলো ফান্ডিং স্ক্যান্ডেল ও মূল্যস্ফীতি।
Advertisement
এর আগে জনমত জরিপে দেখা গেছে, এলডিপি ও তাদের দীর্ঘদিনের অংশীদার কোমেইতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারেন। গত কয়েক বছর ধরেই জাপানে একদিকে যেমন জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে তেমনি প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে উত্তেজনাও বেড়েছে।
বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট যদি সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবারকে ছোট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে হতে পারে। এতে কিছু নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনিশ্চিতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত মাসে এলডিপির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন ইশিবা। সাত দশক ধরে তার দল জাপানের শাসনক্ষমতায় রয়েছে। তবে দলের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার পর ৬৭ বছর বয়সী সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ১ অক্টোবর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর নতুন জাপানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
Advertisement
ইশিবার পক্ষ থেকে হতাশাগ্রস্ত গ্রামীণ অঞ্চলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা ও জাপানের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে কর্মঘণ্টা শিথিলের মতো নানা নীতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম
Advertisement