রাজনীতি

জনগণ সংবিধান না মানলে সাংবিধানিক সংকট কীসের: ড. মাসুদ

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জনগণ যেখানে সংবিধান মানে না, সেখানে কীসের সাংবিধানিক সংকট? প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার করার পর তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।

Advertisement

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, যারা বলে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেবে, তারা কি মুজিববাদের রচিত সংবিধান মানে? যদি মানে তাহলে তারাও নব্য ফ্যাসিবাদী। তারা নতুন বাংলাদেশ গঠনে বড় বাধা। তাদের বয়কট করতে হবে।

‘তাদের কাছে ছাত্র-জনতার রক্তের কোনো মূল্য নেই। তারা শুধু ক্ষমতার পালাবদলে বিশ্বাসী। তাদের রাজনীতির নীতিই হচ্ছে একবার তোমরা, একবার আমরা! তারা দেশ ও জাতিকে নিয়ে ভাবে না, দেশ ও জাতির কল্যাণে রাজনীতি করে না।’

Advertisement

ড. মাসুদ আরও বলেন, বিদ্যমান সংবিধান একটি অকার্যকর সংবিধান। এটি ছুড়ে ফেলে নতুন বাংলাদেশে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে এমন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, এবার আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের সৃষ্টি সিন্ডিকেট এখনো বাজারে প্রভাব বিস্তার করছে। যার ফলে জনগণ অস্বস্তিতে রয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রধান দোসর জাতীয় পার্টি, ছাত্র সমন্বয়ক হাসনাত ও সারজিসকে রংপুরে ঢুকতে দেবে না বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি প্রমাণ করেছে, তারা প্রকাশ্যে বাংলাদেশের জনগণের দুশমন।

আওয়ামী লীগের মতোই তাদের দোসর জাতীয় পার্টিসহ মহোজটের শরিক ১৪ দলকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ড. মাসুদ।

Advertisement

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, শিক্ষাবিদ ড. মাহফুজুল হক, ড. আতিক মুজাহিদ, জয়নাল আবেদীন শিশিরসহ রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতারা।

এএএম/এমকেআর