চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে এসআলম গ্রুপের কাছে বিক্রি করা আলোকদিয়া মৌজার ১২০ শতাংশ জমির দলিল কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, অর্থ সচিব, পানি সম্পদ সচিব, বিদ্যুৎ সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)সহ ১৩ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মতি। আইনজীবী মতিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গণ্ডামারার আলোকদিয়া মৌজায় দুই আবেদনকারী ১২০ শতক জমি সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেন। ২০১১ সালে ৩ নভেম্বর রেজিস্ট্রি হয়। কিন্তু জমির সঠিক মূল্যে ৩৬ লাখ টাকা। এর সমর্থনে ওই এলাকার আরো দলিল আদালতে উপস্থাপন করি। তিনি বলেন, কম দামে জমি কেনার কারণে সরকার কয়েকশ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি পায়নি। আর জমির মালিকরাও সঠিক দাম পায়নি। একইভাবে ৮০০ একর জমি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ক্রয় করার কারণে বিক্রেতাগণ ভিটে মাটি ছাড়া জমির উপযুক্ত দাম পাননি। মতিউর রহমান বলেন, আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে নয়। তবে আমরা জমির সঠিক দাম চাই।আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম বড়ঘোনার মৃত আব্দুল মান্নান সিকদারের দুই ছেলে আবুল ফজল সিকদার ও আনোয়ারুল আজিম সিকদার।এফএইচ/এসকেডি/এবিএস
Advertisement