স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৬১ ভর্তি

এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯৬১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৬৬৩ জনে। এ সময় নতুন করে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭১ জনে।

Advertisement

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও এক ৯৬১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে নতুন করে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং অপরজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭১ জনে।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৩৮১ জন রয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগে ১৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪১ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৪ জন, খুলনা বিভাগে ১০৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, রংপুর বিভাগে একজন এবং সিলেট বিভাগে ৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

Advertisement

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৫৫ হাজার ৬৬৩ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ২৭১ জনের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী এবং ৪৬ দশমিক ৫০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

Advertisement

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান

এএএম/জেএইচ/জেআইএম