জাতীয়

ভারতে মারা যাওয়া রেজাউলের মরদেহের আবারও ময়নাতদন্ত করা হবে

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকা সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক মো. রেজাউল করিম কাঁটাতার পার হয়ে ভারতের সীমান্তে মৃত্যুবরণ করেন। দুই দিন পর আজ শনিবার তার মরদেহ হস্তান্তর করবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

Advertisement

ভারতে রেজাউলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও বাংলাদেশে পুনরায় তার মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের করা হবে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিএসএফ বিজিবিকে জানিয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিজিবির নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধীনস্থ মুন্সিপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকার সীমান্ত পিলার ১১৩৮/৪-এসের কাছ দিয়ে ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক কাঁটাতার থেকে আনুমানিক ১০০-১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ৬ জন পালাতে সক্ষম হয়। তবে রেজাউল নামের একজন সেখানে একটি কালভার্ট থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। এরপর তিনি অচেতন হয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করে এবং সেখানে ২৪ অক্টোবরেই তার মৃত্যু হয়। ভারতে রেজাউলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।

Advertisement

আরও পড়ুন

সীমান্তে গুলির শব্দ, ওষুধ ব্যবসায়ীর মরদেহ নিয়ে গেলো বিএসএফ

বিজিবি জানায়, শনিবার নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপির বিপরীতে ২০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বাগমারা এলসি দিয়ে নেত্রকোণা জেলা পুলিশের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি হস্তান্তর সম্পন্ন হবে। মরদেহটি পাওয়ার পর বাংলাদেশে পুনরায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মৃত মো. রেজাউল করিম শেরপুর সদর উপজেলার আলিনাপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছে শেরপুর সদর থানা।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর ধোবাউড়া সীমান্তে গুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রেজাউল করিম (২৬) নামের এক ওষুধ ব্যবসায়ীর মরদেহ বিএসএফ নিয়ে যায়।

Advertisement

সূত্র জানায়, রেজাউল করিম একজন ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। স্বল্পমূল্যে ওষুধ আনতে ভারতে যান। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় সীমান্তে বিকট গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। পরে ওই রাতে রেজাউল করিম ফেরত আসেননি।

টিটি/এসআইটি/এমএস