পুঁজিবাজার উন্নয়নে আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।রোববার দুপুরে মতিঝিলের নিজস্ব কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই এ দাবি জানায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবিগুলো দেয়া হয়েছে।প্রস্তাবে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে অবকাঠামোগত বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথককরণ (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) বাস্তবায়নের পরবর্তী পাঁচ বছর শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা চায় ডিএসই।ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে গত অর্থবছরে ৫ বছর মেয়াদি ক্রমহ্রাসমান হারে কর অবকাশ সুবিধা দেয় সরকার। সেই হিসেবে চলতি বছরে ২০ শতাংশ কর দিতে হবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে। তাই আগের বছরের মতো এবার ডিএসই বাজেট প্রস্তাবনায় আগামী ৫ বছর স্টক এক্সচেঞ্জকে কর মুক্ত রাখার সুযোগ চায় প্রতিষ্ঠানটি।এদিকে বর্তমানে করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা রয়েছে। আগামী বাজেটে (২০১৬-১৭) তা এক লাখ টাকা করার দাবি করেছে ডিএসই। এতে শেয়াবাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ বাড়বে বিনিয়োগকারীদের। যা বাজার স্থিতিশীলতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন তারা।বর্তমানে স্টেকহোল্ডারদের শেয়ার লেনদেনের ওপর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হয়। তা কমিয়ে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।এছাড়াও নির্বাসী এবং অনির্বাসী বাংলাদেশিদের কর কর্তন ৮২ সি ধারার অধিনে অন্তর্ভুক্তি করা, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজড শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি হতে অব্যাহতি দেয়া, ইনকাম টেক্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৪ এর সেকশন ২ এর সাবসেকশন (৩৫) এর অধীনে আয়বর্ষের সঙ্গা পরিবর্তন করার জন্য প্রস্তাব করেছে ডিএসই।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটওয়ারী, ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী, রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।এসআই/বিএ/একে /এবিএস
Advertisement