বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া ছবি নির্মাণের পাশাপাশি হল ডিজিটালাইজেশনসহ নানা ধরনের কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে। সেসব খাতগুলোর ক্ষেত্রে জাজ মাল্টিমিডিয়া নতুন নীতি গ্রহণ করেছে। এ নীতিমালায় প্রজেক্টরের ভাড়া কমানো, সিনেপ্লেক্স নির্মাণ ও পাইরেসি বন্ধে নতুন উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেল। সেখানে দাবি করা হয়েছে এরইমধ্যে তাদের উদ্যোগ নির্মাতা ও প্রযোজকদের কাছে প্রশংসা পেয়েছে।জাজ মাল্টিমিডিয়ার গ্রহণ করা নতুন নীতির মধ্যে উল্লেখ্য হলো :একআসন্ন রোজা ঈদ থেকে ২৫০টি সিনেমা হল ডিজিটালাইজেশন করা। যা হবে সম্পূর্ণ কেডিয়াম ভিক্তিক সার্ভার। এই সার্ভার থেকে কপি বা পাইরেসি করা সম্ভব নয়। এই প্রচেষ্টা সফল হলে পাইরেসি মুক্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উপহার দেয়া যাবে। দুই২৫০টি সিনেমা হলকে A, B, C, D গ্রেডে ৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে জাজ। তারমধ্যে প্রথম সপ্তাহ A ক্যাটাগরিতে ৪৫টি সিনেমা হলের জন্য ১০ হাজার টাকা, B ক্যাটাগরিতে ২৫টি সিনেমা হলের জন্য ৮ হাজার টাকা, C ক্যাটাগরিতে ৫৫টি সিনেমা হলের জন্য ৬, হাজার টাকা এবং D ক্যাটাগরিতে ১২৫টি সিনেমা হলের জন্য ৫, হাজার টাকা VPF চার্জ ধরা হবে।দ্বিতীয় ও পরবর্তী সপ্তাহে A, B ক্যাটাগরিতে ৫ হাজার টাকা এবং C, D ক্যাটাগরিতে ৩ হাজার টাকা চার্জ নেয়া হবে। জাজের ধারণা এতে প্রযোজকের অর্থ সাশ্রয়ী হবে। আর এটি কার্যকর হয়েছে গেল ১ মে থেকে।তিনজাজ এই ঈদের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাওয়া ৫০টি হল ভাড়া নিয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডেকোরেশন করে খোলার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ১৮টি হল ভাড়া নেয়া হয়েছে। বাকি হলগুলোর সাথে কথা চলছে। আশা করা হচ্ছে এই ঈদের পর থেকে প্রযোজকগণ চলতি হলগুলোর সঙ্গে আরও ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্র মুক্তি দিতে পারবে।চারজাজ কাজ করছে ৪টি সিনেপ্লেক্স তৈরি করার। এগুলোর জন্য প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।পাঁচসর্বশেষ উদ্যোগে বলা হয়েছে জাজ কাজ করছে ডিজিটাল টিকেটিং সিস্টেমের। এই সিস্টেম আসন্ন রোজার ঈদ থেকেই চালু হবে বলে আশা করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে এই প্রজেক্টটি পরীক্ষাধীন রয়েছে।এলএ/এমএস
Advertisement