অর্থনীতি

কর আদায়ে এবার শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানোর চিন্তা

কর আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ে এনবিআর করদাতাদের কাছে যাবে। এজন্য আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেবো, যেন শিক্ষার্থীরা করদাতাদের সহযোগিতা করতে পারে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এনবিআরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এবার অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলে দালিলিক ঝামেলা থাকছে না। আয়কর অঞ্চলে দৌড়ঝাঁপ করা ছাড়া ই-রিটার্ন দাখিল করা যাবে।

Advertisement

দালিলিক প্রমাণ ছাড়া ই-রিটার্ন জমাদানের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকলেও তা অসম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, আগের মতো কোনো প্রকার দালিলিক ঝামেলা থাকছে না। সেক্ষেত্রে দালিলিক প্রমাণ ছাড়া ই-রিটার্ন দাখিলে কর ফাঁকির আশঙ্কা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকছে। আমরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করছি তাতে কর ফাঁকির আশঙ্কা নেই। যদি কেউ কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কর অথরিটি কাজ করবে। সে ক্ষেত্রে কর ফাঁকি প্রমাণিত হলে করদাতা তার দায়িত্ব নেবেন।

আরও পড়ুন

ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অধরা, প্রবৃদ্ধি দুই শতাংশ

কর আদায়ে এনবিআর সম্পূর্ণ অটোমেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করদাতাদের জন্য নানা রকম গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা হাই টেকনোলজিক্যাল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি এবং এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে।

কালোটাকা সাদা করা সুযোগের বিষয় করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গেলো অর্থবছরে সরকার কালোটাকা সাদা করতে ১৫ শতাংশ কর ছাড়ের বৈধতা দিয়েছিল। পরে তা বাতিল করা হয়। আগামী অর্থবছরে তা আবারও চালু হবে কি না তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Advertisement

অবৈধ অর্থ ও সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে এনবিআরের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে এনবিআরের ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে হয়তো প্রচার কম। অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে এ ব্যাপারে এনবিআরের কোঅর্ডিনেশন রয়েছে। কর ফাঁকি দেওয়া বা লস্ট রেভিনিউ, সেগুলো খুঁজে বের করে সরকারের তহবিলে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এনবিআর আন্তরিক।

এসএম/ইএ/এএসএম