দেশজুড়ে

কিশোরগঞ্জে টিকা সংকট

কিশোরগঞ্জে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) প্রোগ্রামে নবজাতক ও নারীদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। টিকা নিতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।

Advertisement

সরেজমিন কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায়, নবজাতকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি টিকার মধ্যে একমাত্র ভিসিজি টিকার সরবরাহ রয়েছে। তবে, ওপিডি, প্যান্টা ব্যালেন্স, পিসিবি, আইপিডি, হাম-রুবেলা টিকার সংকট রয়েছে। একইভাবে, নারীদের জন্য টিডি টিকার পাঁচটির মধ্যে কোনোটিই পাওয়া যাচ্ছে না।

টিকা নিতে আসা কিশোরী সাদিয়া বলে, ‘একমাস পরে আজকের তারিখে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসে দেখি টিকা নেই। এখন ঠিকানা নিয়েই বাড়িতে ফেরত যেতে হচ্ছে।’

সে আরও বলে, ‘আমরাতো লেখাপড়া করি। এভাবে নির্দিষ্ট তারিখে এসেও ঘুরে গেলে আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।’

Advertisement

ভাগনিকে টিকা দিতে নিয়ে আসা ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘আজ আমার ছোট ভাগনিকে টিকা দিতে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। এসে দেখি টিকা নেই। ছোট বাচ্চাকে বারবার হাসপাতালে গরমের মধ্যে নিয়ে এলে অসুস্থ হতে পারে।’

জেলার হোসেনপুর উপজেলা থেকে শিশুকে টিকা দিতে এসেছেন জাহানারা। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহ এসেও টিকা না দিতে পেরে ঘুরে গেছি। আজ এসেও বাচ্চাকে টিকা দিতে পারিনি।’

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ভ্যাকসিনেটর মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘নবজাতকের ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুয়েরিন (বিসিজি) টিকা আমাদের কাছে কিছু রয়েছে। তবে বাকি টিকাগুলো নেই। পোলিও টিকার প্রায় দুই আড়াই মাস সাপ্লাই নেই। বাকিগুলো গত সপ্তাহে শেষ হয়ে গেছে। সিভিল সার্জন অফিসে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা টিকা পেয়ে যাবো।’

বিষয়টি স্বীকার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপপরিচালক) ডা. মোহাম্মদ একরাম উলাহ বলেন, গর্ভবতী মা এবং দুই বছরের নিচে শিশুদের যে টিকা দেওয়া হয়, সেগুলো বর্তমানে আমাদের স্টকে নেই। বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি দ্রুতই টিকাগুলো পাওয়া যাবে।

Advertisement

এসকে রাসেল/এসআর/এমএস