দেশজুড়ে

‘দানা’ মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ সাইক্লোন শেল্টার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোংলা বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তবুও এর প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত।

Advertisement

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার। এসব শেল্টারে তিন লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার ও ওষুধ। স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার দুপুরের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হবে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন আশ্রয় নিতে পারেন। এসব শেল্টারে মোট তিন লাখ ১৫ হাজার ১৮০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ মানুষ আশ্রয় ও ৫৬০টি গবাদিপশু রাখা যাবে।

Advertisement

জেলা প্রশাসক বলেন, খুলনার দুর্বল বেড়িবাঁধগুলোর জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এই আবহাওয়ায় বাঁধগুলো এখন মেরামত করা সম্ভব নয়। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সতর্ক নজর রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তিনি জানান, কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় পাঁচ হাজার ২৮০ স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঝড়ের আশপাশে মেঘ ঘনীভূত হয়ে উপকূল এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তবে ঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাস, ভারি বৃষ্টি ও নদীতে পানির উচ্চতা বাড়তে পারে।

সকাল থেকে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।

Advertisement

আলমগীর হান্নান/জেডএইচ/এএসএম