ষর ঋতুর খেলায় দুয়ারে দাড়িয়ে শীত। হেমন্ত মানেই শীতের আগমনী বার্তা। শিশির ভেজা ঘাস আর কুয়াশার চাদর সেই জানানই দিচ্ছে। শহরগুলোতে দালান কোঠার ভিরে শীত একটু পরে এলেও গ্রামে উকি দিতে শুরু করেছে শীত। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে নতুন ধান তোলার আনন্দের পাশাপাশি চলছে শীতের প্রস্তুতি। সূর্যের আলো ফোটার আগেই আড়মোড়া ভেঙে ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়ে গ্রামের মানুষ।
Advertisement
বাতাস কনকনে না হলেও কুয়াশা ভেজা ধান জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী। শিশির জমেছে ঘাসে, গাছের পাতায়। কুয়াশা ভেদ করে লাল আভা নিয়ে পুব আকাশে উঠতে খানিকটা বেগ পেতে হয় সূর্যকে। এসময় মায়াবী আলোয় ভরে থাকে চারপাশ। এরই মধ্যে রোপা আমান ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক। এই ধানই এখন কৃষকের ঘরে ঘরে নবান্ন। আর শীত আসছে পিঠাপুলির আয়োজন নিয়ে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার গংগাদাসপুর গ্রামের কৃষক হাফজিুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের উত্তরাঞ্চলের জেলা জয়পুরহাটে শীতের আগাম বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। সকালে কুয়াশা আর সন্ধ্যায় একটু করে লাগছে শীত।
তিনি বলেন, এখন আমরা আগাম ধান কাটতে শুরু করেছি। এই ধান কেটে জামাই ও মেয়েদের বাসায় ডাকবো। তাদের নতুন ধানের চালের খির আর বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি করে খাওয়াবো।
Advertisement
সদর উপজেলার কড়ই এমপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এখন শীতের আগাম জাতের বাধা কপি, ফুল কপি, বেগুনসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছি। শীত এলে আমাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। ধান কাটা, আলু লাগানোসহ বিভিন্ন আগাম জাতের ফসল চাষে আমরা ব্যস্ত থাকি।
জয়পুরহাট সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তুলসী দাস মহন্ত জাগো নিউজকে বলেন, আগাম সবজির ক্ষেতে কৃষকের ব্যস্ততা বেড়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জাগো নিউজকে বলেন, হেমন্তের সকাল শেষে যখন সন্ধ্যা নেমে আসে শুরু হয় বাড়ি ফেরার পালা। কুয়াশার চাদর জানায় শীত এলো বলে। তবে শীতে প্রস্তুত করা হচ্ছে আগাম জাতের শাক-সবজি। সেখানে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।
আল মামুন/জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement