জাতীয়

গভীর নিম্নচাপটি কক্সবাজার থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘দানা’।

Advertisement

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার ৩-নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৫.৯০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.১০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

আরও পড়ুন:লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেতবুধবার থেকে তিনদিন সারাদেশে বৃষ্টির আভাসঘূর্ণিঝড় ‌‘দানা’ নিয়ে যা জানা গেলো

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিমি এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

Advertisement

এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছ।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।

জেএইচ/জেআইএম

Advertisement