বকেয়া মজুরির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন রাষ্ট্রমালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) চা শ্রমিকরা।
Advertisement
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে এনটিসির ১৬টি চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বুধবারের মধ্যে পাওনা বকেয়া পরিশোধ না করলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে অংশে নেওয়া চা শ্রমিকরা বলেন, তাদের ছয় সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে। মজুরি না পেয়ে তারা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। মালিকপক্ষ বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে তারা কাজে ফিরবেন না।
Advertisement
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলাই ভ্যালি কমিটির সভাপতি ধনা বাউরি বলেন, আমাদের শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই। তারা অনেক কষ্ট করে চলছেন। এখন পেটে ক্ষুধা নিয়ে শ্রমিকেরা কাজ করবেন কীভাবে? মালিকপক্ষ বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে তারা কাজে ফিরবেন না।
তিনি বলেন, সারাদেশে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৬টি চা বাগান আছে। এসব বাগানে প্রায় ১৭ হাজার চাশ্রমিক কাজ করেন। তাদের ওপর আরও ৩০ হাজার মানুষের ভরণপোষণ নির্ভর করে।
কমলগঞ্জ পাত্রখোলা চা বাগানের যুব নেতা প্রদীপ পাল বলেন, আমাদের চা শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই। তারা অনেক কষ্ট করে চলছেন। যদি অনতিবিলম্বে বকেয়া মজুরি পরিশোধ না হয়, তাহলে চা বাগানগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
এনটিসির মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক বলেন, শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাদের পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণাঙ্গ পুনর্গঠন না হওয়ায় কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছেন, শিগগিরই পরিচালনা পরিষদের পূর্ণাঙ্গ গঠন হবে এবং শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে পারবেন।
Advertisement
ওমর ফারুক নাঈম/এসআর/এমএস