বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি। এবার ৬২ লাখের বেশি কিশোরীকে টিকা আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে সরকার। শুরুতে ঢাকা বিভাগ বাদে দেশের বাকি সাত বিভাগে চলবে এই ক্যাম্পেইন। মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীরা এই টিকা নিতে পারবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২৪ জাতীয় অ্যাডকেসি সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় আট হাজারেরও বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার নারীর মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে নারীদের ক্যানসারজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে জরায়মুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। নারীরা আক্রান্ত হলে তা শনাক্ত বা উপসর্গগুলো দেখা দিতেই চলে যায় এক যুগের বেশি। তাই এই ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার অন্যতম উপায় আগাম প্রতিরোধ।
Advertisement
এমতাবস্থায় আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করছে সরকার। ক্যাম্পেইনের শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির কিশোরীদের এবং পরে ওয়ার্ড, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে জন্ম সনদ দিয়ে নিবন্ধন করে নেওয়া যাবে টিকা। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ্য সচিব আকমল হোসেন আজাদ জানান, টিকাদান কর্মসূচি দেশের প্রন্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ৬২ লাখের বেশি কিশোরীকে টিকার আওতায় আনা হবে। এরই মধ্যে আমরা সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। অভিভাবকদের টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে।
এএএম/এমআইএইচএস/এমএস