আইন-আদালত

ক্ষমা চেয়ে ব্যারিস্টার সুমন বললেন, ‘সরি স্যার’

সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত হত্যাচেষ্টা মামলায় তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Advertisement

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীকে উদ্দেশ্য করে তিনি কথা বলতে চান। তবে তিনি তাকে এড়িয়ে যান। এ সময় সুমন বলেন, ‘আপনার সঙ্গে আলাদা করে কিছু বলবো না স্যার। আপনার মাধ্যমে সব আইনজীবীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি খুব সরি স্যার’।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ব্যারিস্টার সুমন প্রতারণার মাধ্যমে কাজ করে থাকেন। রাজনীতিতে কিছু মানুষ আছে, যারা প্রকৃত রাজনীতি করে না। তিনি সংসদে নিজেকে সেলফি এমপি দাবি করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে  সারদায় প্রশিক্ষণরত ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শেখ রাসেল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তালা 

সবচেয়ে বেশি টাকার গাড়ি তিনি আমদানি করলেও চালাতে পারেনি। ফেসবুকে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে প্রতারণা করতেন। নিজের মানুষ দিয়ে আগে থেকে এসব তৈরি করে রাখতেন। প্রতারণা করে নিজেকে অবৈধ এমপি ঘোষণা করেছেন। তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষ নিয়েছেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। গুলিও চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়।

তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ব্যারিস্টার সুমন। এ মামলায় সোমবার রাতে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জেএ/এমআরএম/জিকেএস

Advertisement