প্রতিপক্ষ গ্রুপের সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সোমবার দুপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন চট্টগ্রামের আফতাব উদ্দিন তাহসিন (২৬)। এর তিন ঘণ্টা পরেই সন্ত্রাসীদের গুলিতেই নিহত হন তিনি।
Advertisement
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অদূরে বানিয়ারা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ও সরোয়ার হোসেন বাবলা গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত আফতাব উদ্দিন তাহসিন (২৬) বাবলা গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। তার বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। তাহসিন চান্দগাঁও থানার হাজীরপুল এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. মুসা।
দুপুরে একটি দৈনিক পত্রিকার নিউজ শেয়ার করে তাহসিন ফেসবুকে লিখেন, ‘প্রশাসন চুপ কেন? ডাবল মার্ডার হওয়ার দুই মাস হয়ে গেছে একজন আসামিও গ্রেফতার হয় না।’
Advertisement
এরপর বিকেলে ৫টার দিকে ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অদূরে বানিয়ারা পাড়ায় এলাকায় একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তাহসিন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন গিয়ে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, ‘সাজ্জাদ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা বাবলা গ্রুপের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে। গুলিবিদ্ধ যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুনের এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’
স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ও সরোয়ার হোসেন বাবলা আগে একই গ্রুপে নেতৃত্ব দিতো। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে দু’টি গ্রুপ তৈরি হয়। চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, হত্যা, খুনের চেষ্টাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মূলত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে ৩৬টি টেম্পুর চাঁদাবাজি নিয়ে। এসব টেম্পু প্রতিদিন চান্দগাঁও হাজীরপুর থেকে বহদ্দারহাট মসজিদ পর্যন্ত চলাচল করে থাকে। এসব টেম্পু থেকে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে একটি গ্রুপ। সরকার পতনের আগে যে গ্রুপ টাকা নিতো তারা পরিবেশ পরিস্থিতিতে হঠাৎ আড়ালে চলে যায়। বর্তমানে ভাগ বাটোয়ারায় নতুন দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার এ খুনের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এএজেড/এসএনআর/জিকেএস