বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সঙ্গে একীভূত হতে এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্লাক আউট (বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন) হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পল্লী বিদ্যুতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
Advertisement
সোমবার (২১ অক্টোবর) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনের বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, অতীতে তাদের দাবি দাওয়া ছিল তার মধ্যে ৯টি দাবি আগেই মেনে নেওয়া হয়েছে। দুটি দাবি বাকি আছে সেজন্য সময়ের প্রয়োজন। কারণ একীভূত হতে হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে অর্থবিভাগ, তাদের যাচাই-বাছাই লাগবে তারা যখন আমাদের বলবে...। এটা ইজি প্রসেস না যে চট করে করে দেওয়া যায়। সেজন্য আমাদের একটু সময়ের প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, এখন দুটি ইস্যু আছে, একটা নিয়মিতকরণের বিষয়। আমার জানা মতে অলরেডি সাড়ে ৪ হাজারের মতো নিয়মিত হয়েছে। বাকিদের নিয়মিত করা যাচ্ছে না কারণ শূন্য পদ থাকতে হবে। শূন্য পদের জন্য আমাদের সময় দিতে হবে, সেটা শূন্য করে আমরা আস্তে আস্তে পূরণ করবো।
Advertisement
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সঙ্গে একীভূত করার দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ইজি বিষয় নয়, সময়সাপেক্ষ। সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ৪৫ হাজার কর্মরত। তাদের সরকারে একীভূত করার জন্য সমিতিগুলো তৈরিও হয়নি। কারণ তারাও জানে তারা (সমিতি) কীভাবে তৈরি হয়েছে। এখন চিন্তা করতে হবে সরকার ৪৫ হাজার লোকের দায়িত্ব নেবে কি না! দায়িত্ব নেওয়ার ম্যানডেট বা আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না কখনও। সেজন্য এ বিষয়ে এখনই কিছু বলার সময় হয়নি।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, তাদের অধিকাংশ দাবি আগেই মেনে নেওয়া হয়েছে। এখনও তারা অযৌক্তিকভাবে এই জিনিসগুলো নিয়ে আন্দোলন করছে।
এনএস/এমআরএম/এএসএম
Advertisement