রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে এখন আর চাঁদাবাজি হয় না বলে জানিয়েছে মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
Advertisement
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনালে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর মহাখালীতে বাসে কোনো চাঁদাবাজি হয়নি। তবে সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে মহাখালী বাস টার্মিনালের চাঁদাবাজির গল্প করা হয়েছে। কিন্তু আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে চাই, গত ৫ আগস্টের পর মহাখালী বাস টার্মিনালে কোনো চাঁদাবাজি হয়নি। শুধু টার্মিনাল পরিচালন ব্যয় ও মসজিদের জন্য ১০ টাকা করে বাসপ্রতি চাঁদা নেওয়া হয়।’
আবুল কালাম বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য পরিবহন সেক্টরের শৃঙ্খলা আনা ও দুর্ঘটনা কমানোর নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়ে আমরা যখন ব্যস্ত সময় পার করছি, তখন গার্মেন্টস সেক্টরের মতো সড়ক পরিবহন সেক্টর অশান্ত করার জন্য স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের দোসর ও কতিপয় সুবিধাভোগী মহল নানাভাবে উসকানি দিয়ে পরিবহন সেক্টর অশান্ত করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমরা পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
Advertisement
আরও পড়ুন
ঢাকার বাস ছারপোকা-তেলাপোকায় ভরা: যাত্রী কল্যাণ সমিতিতিনি আরও বলেন, ‘আগে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে গায়ের জোরে এনা পরিবহনের বাস চালাতেন। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাস চালাতে হলে এই সমিতির সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ দীর্ঘদিন এই বাস টার্মিনাল থেকে গাড়ি চালিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে উনি কোনো দিন আমাদের সদস্য হননি। আমাদের মালিক-শ্রমিকদের উনি কোনো সহায়তাও দেননি। উনি ওনার গায়ের জোরে চালিয়েছেন। ওনাকে প্রতিরোধ করার কোনো ক্ষমতা আমাদের ছিল না।’
সংবাদ সম্মেলনে মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মালেকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএমএ/ইএ/এমএস
Advertisement