চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে তিনটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেরত আসার সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামকে রাস্তায় আটকে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
Advertisement
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে উপর কলয়াদিয়ার এলাকায় অভিযানে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকাবাসী রাস্তায় বসে আন্দোলন করতে থাকেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তাসাউর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় মোট ৫টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণ করে আসছে। আমরা প্রশাসনকে একাধিকবার ব্যবস্থা নিতে বললেও কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। আজকে জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট এখানে এসে তিনটি ভাটা ভেঙে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় এলাকাবাসী তাদের গাড়ির গতিরোধ করে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল বলেন, এখানে মোট ৫টি ইটভাটা থাকলেও কাগজপত্র রয়েছে দুটির। তবে কয়েকদিন আগে তাদের কাগজপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বাকি তিনটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
তিনি জানান, এলাকাবাসীর দাবি ওই দুইটি ইটভাটাও ভেঙে দিতে হবে। কিন্তু তাদের কাগজপত্র থাকায় আমরা সুযোগ দিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ জাগো নিউজকে বলেন, এলাকাবাসী যে দুইটি ইটভাটা ভেঙে দেওয়ার কথা বলছেন, তাদের লাইসেন্স রয়েছে। এজন্য তাদের ইটভাটাগুলো ভেঙে দেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কয়লাদিয়ার এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্মার্ট, সনি-১ ও সনি-২ নামে তিনটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে এবিসি ইটভাটার মালিকপক্ষ কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেনি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে এসব ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফতাবুজ্জামান আল-ইমরানকে এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
Advertisement
সোহান মাহমুদ/এফএ/জিকেএস