৯ বছর পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার ঢাকা টেস্টে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক।
Advertisement
আজ সোমবার শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের সাকিব-পরবর্তী অধ্যায় ও হেড কোচ ফিল সিমন্স যুগের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। এই টেস্ট খেলেই দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন সাকিব। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে সেটা আর হয়ে ওঠেনি বাঁহাতি অলরাউন্ডারের।
অন্যদিকে বহু প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে শুভযাত্রা শুরু করলেন হেড কোচ ফিল সিমন্স। আজ টসের পর মিডিয়াতে কথা বলেন ক্যারিবিয়ান এই কোচ।
সিমন্স চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়ে বলেন, ‘খেলার মাত্র তিন দিন আগে এসেছি। ফোকাস এবং বার্তা মূলত দুটি জিনিস নিয়ে। সেটি হলো- আমাদের কঠোর প্রস্তুতি নিতে হবে এবং আমরা পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝি।’
Advertisement
উইকেটের বিষয়ে সিমন্স বলেন, ‘স্পিন সহায়ক হবে। সেটা আজ হোক বা কাল। মূল বিষয় হলো ধৈর্য ধরে দীর্ঘ ব্যাটিং করা এবং বোলারদের আক্রমণাত্মক মাঠে নিজেদেরকে সুযোগ দেওয়া। তারা (দক্ষিণ আফ্রিকা) কঠিন প্রতিপক্ষ। যখন যেমন দরকার, তখন তারা তেমনি খেলবে। তাদের (দক্ষিণ আফ্রিকা) ফাস্ট বোলাররা আমাদের ব্যাটারদের মোকাবেলা করতে চলেছে এবং তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ে শুরু করতে পারবে কিনা বাংলাদেশ, এমন প্রশ্ন হাজারো ভক্তের। ভক্তদের আশা জাগাচ্ছে পরিসংখ্যান।
১০ বছর ধরে উপমহাদেশের মাটিতে টেস্ট জেতেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫৩ রানের জয়টিই শেষ, তারপর বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় খেলতে এসে ১৩ টেস্টে আর জয়ের মুখ দেখেনি প্রোটিয়ারা।
সর্বশেষ ২০২১ সালে পাকিস্তান সফরে এসে ২ টেস্টের সিরিজে রাওয়ালপিন্ডি (৯৫ রানে) আর করাচিতে (৭ উইকেটে) হেরে ঘরে ফিরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল।
Advertisement
ইতিহাস জানায়, এর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবার মিরপুর ও চট্টগ্রামে দুই ম্যাচের সিরিজ অমীমাংসিত ছিল। কাজেই ইতিহাসকে মানদণ্ড ধরলে বলা যায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর একটা ভালো সুযোগ এবারের সিরিজ।
এমএইচ/জেআইএম