আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গের উপ-নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী

পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আগামী মাসে নির্বাচনের আগেই নির্বাচনী এলাকাগুলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

জানা গেছে, আপাতত ৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে রাজ্যে। সেই বাহিনীতে থাকছে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ২৪ কোম্পানি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩০ কোম্পানি, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের ১২ কোম্পানি, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ ১০ কোম্পানি, সশস্ত্র সীমা বল ১৩ কোম্পানি। এসব কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে যাবে।

রাজ্যে উপ-নির্বাচন আগামী ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এবং ফল ঘোষণা করা হবে ২৩ নভেম্বর। কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটারদের উৎসবের মেজাজে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজ্যের ভোট অবাধ ও স্বচ্ছভাবে হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।

আরও পড়ুন>>

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকে গুলি করে হত্যা মমতার পদত্যাগ দাবি করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র আর জি কর বিতর্কের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৬ আসনের উপ-নির্বাচন ঘোষণা

উপ-নির্বাচন হবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া ও নৈহাটি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা, কোচবিহারের সিতাই এবং আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট বিধানসভা আসনে। এই আসনগুলোর মধ্যে পাঁচটি তৃণমূল কংগ্রেসের এবং একটি বিজেপির দখলে ছিল।

উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন হাজী নুরুল ইসলাম। তাকে লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী করে দলটি। হাজী নুরুল ইসলামের মৃত্যু হওয়ায় সেই লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রটি ফাঁকা হয়ে যায়। ফলে হাড়োয়া বিধানসভার পাশাপাশি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়ে। তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আপাতত শুধু হাড়োয়া বিধানসভায় উপ-নির্বাচন হবে।

নৈহাটি বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন রাজের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। লোকসভা নির্বাচনে তাকে ব্যারাকপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে নৈহাটি কেন্দ্রটি ফাঁকা হয়ে পড়ে। এই কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হবে।

মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন জুন মালিয়া। তিনি মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ায় বিধানসভা কেন্দ্রটি ফাঁকা হয়ে পড়ে।

Advertisement

একইভাবে বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন অরূপ চক্রবর্তী। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করায় এই কেন্দ্রটি ফাঁকা হয়।

আবার কোচবিহারের সিতাই বিধানসভার বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া বর্তমানে সংসদ সদস্য। ফলে তারও বিধানসভা আসন ফাঁকা।

আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। তিনি আলিপুর লোকসভা আসনের সংসদ সদস্য হওয়ায় মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র ফাঁকা হয়েছে।

এই ছয়টি আসনের উপ-নির্বাচন রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষ করে, আর জি করের ঘটনা রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে তাদের দখলে থাকা পাঁচটি আসন ধরে রাখা কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে, সেটাই দেখার বিষয়।

ডিডি/কেএএ/