দেশজুড়ে

যশোর বোর্ড ঘেরাও করে এইচএসসি ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‘মনগড়া ফল’ বাতিলের দাবিতে যশোর শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে এইচএসসি ফেল করা শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে শতাধিক শিক্ষার্থী যশোর শিক্ষাবোর্ডে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করে।

তাদের অভিযোগ, বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া ফল প্রকাশ দিয়েছে। যশোর বোর্ডের ইংরেজি প্রশ্ন সহজ হওয়ার পরও গণহারে ইংরেজিতে ফেল করানো হয়েছে। আর সাবজেক্ট ম্যাপিংও সঠিকভাবে করা হয়নি। এজন্য ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়ে তারা স্মারকলিপি দিয়েছে।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, সকাল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফেল করা একদল শিক্ষার্থী বোর্ডের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করে। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার কলেজ থেকে এসব শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়। দুপুরের দিকে তারা মিছিল করে বোর্ডে প্রবেশ করতে গেলে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষ গেট খুলে দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় এবং সেখানে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।

Advertisement

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া ফল দিয়েছে। যশোর বোর্ডের ইংরেজি প্রশ্ন সহজ হওয়ার পরও গণহারে ইংরেজিতে ফেল করানো হয়েছে। সিলেট বোর্ডে মাত্র দুই বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হলেও তাদের সবাইকে পাস করানো হয়েছে। যশোর বোর্ডে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংও সঠিকভাবে হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতে যশোর বোর্ডের ফল খারাপ করা শিক্ষার্থীরা আবেদন ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না।

একপর্যায়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে তারা ফলাফল বাতিল ও অটোপাসের দাবিতে স্মারকলিপি দেন। এরপর শিক্ষার্থী বোর্ডের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

তবে আন্দোলনকারীদের দাবি অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন জানিয়েছেন যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার।

তিনি বলেন, ফেল করা কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন করেছে। অল্প কিছু শিক্ষার্থী বিভ্রান্তিকর তথ্য পেয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করছে। তারা পরীক্ষায় ভালো না করায় রেজাল্ট খারাপ হলে বোর্ড কর্তৃপক্ষের তো কিছু করার নেই। তারা কিছু লিখিত দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি আন্তঃবোর্ডের চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Advertisement

মিলন রহমান/এএইচ/জিকেএস