আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে নিজেদের দাবি তুলে ধরতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তারা।
Advertisement
শনিবার (১৯ অক্টোবর) আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের অন্তর্ভুক্ত প্রশাসন ছাড়া ২৫টি ক্যাডারের নেতাদের সঙ্গে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীর খামারবাড়ির তুলা ভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিভিন্ন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতা এবং সব ক্যাডারের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বিভিন্ন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের বৈষম্য তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তারা আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
নেতারা বলেন, ২৫ ক্যাডার দেশে বৈষম্যহীন সেবা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। সভায় ২৫ ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া একটি ক্যাডারের সদস্যদের দিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করায় তা প্রত্যাখ্যান করে সব ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে কমিশন পুনর্গঠনের আহ্বান জানানো হয়। সরকারকে বিভ্রান্ত করে আগের মতো একপেশে সুপারিশ সম্বলিত কমিশন রিপোর্টের বিষয়ে সতর্ক থাকতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়।
Advertisement
সভায় সব ক্যাডারের নেতারা সারাদেশের সব ক্যাডার সদস্যদের পরিষদের কাজের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে পরিষদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। বিভিন্ন কর্মসূচির রোডম্যাপ করা হয় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বৈষম্য নিরসনে করণীয় বিষয়ে উপদেষ্টাকে অবগত করার সিদ্ধান্ত হয়। জনবান্ধব সরকার গঠনে সিভিল প্রশাসন পুনর্গঠনের বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া ২০ নভেম্বরের মধ্যে একটি বড় সমাবেশ আয়োজনের দাবি করা হয় এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে সব ক্যাডারের সাংগঠনিক সমস্যাগুলো পরিষদের কাছে জমা দেওয়ারও অনুরোধ করা হয় বলেও জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
আরএমএম/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement