চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দখলদার ইসরায়েলের হামলায় শহীদ হওয়ায় হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল হক।
Advertisement
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মাঠে নামাজটি অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা নামাজের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আহসানুল্লাহ হৃদয় বলেন, ১৯৬৮ সাল থেকে ইসরায়েল গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে তারা হত্যা করেছে। নারী-শিশু থেকে শুরু মায়ের কোলে দুগ্ধজাত শিশুও তাদের এ নির্মমতা থেকে রক্ষা পায়নি।
দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, যে ভূমিতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেটি আল্লাহর। আমাদের মাথার ওপর যে আসমান তাও আল্লাহর। এ ভূমিতে এবং আসমানের নিচে আমরা আল্লাহর জন্য যুদ্ধ করেছি। বুদবুদের মত জীবনকাল যে আল্লাহর অনুকূলে কাটিয়ে দিল তার চেয়ে ভাগ্যবান আর কে আছে? তার রক্ত যদি কখনো বয়ে যায় তাহলে সেই স্রোত আকাঙ্ক্ষিত নহরে গিয়ে মিশবে। ইয়াহিয়া সিনওয়ারের তার জীবন দিয়ে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। আমরাও একইভাবে সাক্ষ্য দিতে চাই। হে আল্লাহ! আমরা মাজুর আমরা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ করতে পারছি না। আমরা জিহাদের কথা উচ্চারণ করতে পারছি না। আমাদের সুশীলরা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে মাইনাস করেছে। আমরা সুশীল জীবন চাই না। আমরা ইয়াহিয়ার মত জীবন দিতে চাই।
Advertisement
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক বলেন, আজকে মুসলিম উম্মা নেতৃত্ব শূন্য। যারাই নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা ইসরায়েলকে জানিয়ে দিতে চাই, পৃথিবীতে যদি একজন ব্যক্তিও ইমান নিয়ে বেঁচে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর জমিনে কালেমার পতাকা উড়াবে। হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হবে। আমাদের বিজয় অবশ্যই আসবে এবং পৃথিবীতে খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে।
আহমেদ জুনাইদ/আরএইচ/জেআইএম