লেবাননের হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা শুক্রবার ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দেশটির একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান নেতা হাসান নাসরাল্লাহর হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
Advertisement
ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা কেন্দ্রীয় ইসরায়েলের হাদেরার শহরের পূর্বে অবস্থিত একটি বিমান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে বিস্ফোরক-বোঝাই ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। লেবাননের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা এবং হাসান নাসরাল্লাহকে উৎসর্গ করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮০ জন। প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই এলাকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
আল আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সালহা বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। প্রায় ৭০ জনকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা হিমসিম খাচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। তারা জাবালিয়ায় সর্বশেষ হামলায় আহত হয়েছে।
Advertisement
হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীকে প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গাজায় যদি আগ্রাসন বন্ধ না হয়, ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার করা না হলে এবং ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া না হলে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৯ হাজার ৫৪৬ জন।
আরও পড়ুন: গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত ইসরায়েল যেভাবে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খুঁজে বের করে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরানগাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এখন লেবাননেও একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করছে ইসরায়েল। লেবাননের রাজধানী বৈরুতসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হামলা চালানো হচ্ছে।
টিটিএন
Advertisement