জাতীয়

গ্রেফতার আতঙ্কে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

আন্দোলন প্রত্যাহার করার পরও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি ও গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

Advertisement

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আন্দোলনের সমন্বয়ক এজিএম আব্দুল হাকিম ও এজিএম সালাউদ্দিন আহমেদের সই করা বিবৃতিতে এ শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। আজ শুক্রবার তাদের ছয়জনকে আদালতে তোলা হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

যাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন- প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস (এজিএম, মুন্সিগঞ্জ), দীপক কুমার সিংহ (ডিজিএম, কুমিল্লা), আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া (ডিজিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), বেলাল হোসেন (ডিজিএম, সিরাজগঞ্জ), রাহাত (ডিজিএম, মাগুরা) এবং মনির হোসেন (এজিএম, নেত্রকোনা)। এছাড়া কুমিল্লা থেকে আটক ৬ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Advertisement

আরও পড়ুন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুতের ৬ কর্মকর্তা রিমান্ডে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত

কর্মকর্তাদের গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন ও অনিয়মিতদের নিয়মিত করার দুই দফা দাবিতে দীর্ঘদিন গ্রাহক সেবা চালু রেখেই নিয়মতান্ত্রিক অহিংস আন্দোলন করে আসছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও আরইবি কর্তৃক বিনা কারণে ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও ১০ জনের নামে মামলা করা হয়। আরইবির এমন কর্মকাণ্ড বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিচ্যুতির আদেশ বাতিলের দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন।

পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের অনুরোধে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি পূরণে আলোচনায় সম্মত হন। আটকদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসে আলোচনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কর্মসূচি প্রত্যাহারের পরও রাতেই আরও ৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে গতরাত ও আজ সারাদিন ধরপাকড় চালিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ধরপাকড় ও মামলা আতঙ্কে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্টেশনে অবস্থান করতে পারছেন না। এ অবস্থায় গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এ অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত রাখার স্বার্থে কর্মীদের কর্মস্থলে অবস্থান করা প্রয়োজন। চলমান সংকট নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায়, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে এর দায়ভার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো বহন করবে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

Advertisement

এনএস/কেএসআর/এএসএম