চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের নির্দেশনা মানছেন না জেলেরা। নদীতে কড়া নজরদারির মধ্যে ইলিশ শিকারে নামছেন তারা। এমনকী অভিযানে নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা পর্যন্ত করছেন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগের সদস্যদের ওপর জেলেদের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৮০-৯০ জনকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেন উপজেলা মৎস্য অফিসের সহকারী আতিকুর রহমান।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক।
Advertisement
আহতরা হলেন উপজেলা মৎস্য অফিসের সহকারী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, মোশারফ হোসেন, মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্য ইমরান হোসেন, মো. রাসেল, কামাল হোসেন, জসিম উদ্দিন, স্পিডবোট চালক রনি মিয়া, নৌকার মাঝি আলী আকবর, মাঝির সহকারী আবদুল ছাত্তার ও মো. কাউছার। আহতরা সবাই মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষার নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে মৎস্য বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মেঘনা নদীর আমিরাবাদ এলাকায় আসলে অসংখ্য জেলে জড়ো হন। তারা অতর্কিতভাবে বাঁশ, লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালান। এতে ১০ জনের মতো আহত হন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, ‘ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের এই ধরনের হামলা দুঃখজনক। তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে মাছ ধরবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের অভিযান আরও জোরালোভাবে চালানো হবে।’
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক জানান, মতলব উত্তর থানায় মামলা হলেও এটার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওপরে। তারা আসামিদের শনাক্ত করে আটক করবেন।
Advertisement
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তরে যৌথ অভিযানে শতাধিক জেলে আটক করা হয়েছে। আটক জেলেদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়েদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে জেলেদের বেশিরভাগই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
শরীফুল ইসলাম/এসআর/এএসএম