নেত্রকোনার বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মনির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। পরে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে তাকে ঢাকার খিলক্ষেত থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) লুৎফর রহমান বলেন, মামলা থাকায় মনির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ, অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করেন। আন্দোলনে জড়িত থাকায় বুধবার (১৬ অক্টোবর) বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মনির হোসেনসহ সারাদেশের ২০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা ও দপ্তর পরিপন্থি কাজের অভিযোগ আনা হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে মনির হোসেনকে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অবশ্য কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত জেলার ১০টি উপজেলাসহ পাশে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতে দুর্ভোগের শিকার হন পল্লী বিদ্যুতের ৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৫৩ গ্রাহক। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানেও বন্ধ করে রাখা হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম তাপস দেবনাথ বলেন, যেসব কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করাসহ মামলা দেওয়া হয়েছে, তাদের দ্রুত চাকরিতে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।
তিনি আরও বলেন, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। সাময়িক জনদুর্ভোগের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী।
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ বলেন, বারহাট্টার এজিএমকে পুলিশ আটক করেছে বলে শুনেছি। তবে নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
Advertisement
এইচ এম কামাল/এসআর/এএসএম