স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রয়াত সংগীত পরিচালক, সুরকার ও শিল্পী সুজেয় শ্যামকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। আজ সকালে তার মরদেহ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় সর্বসাধারণের অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। সেখানে সকাল ১১টা থেকে ১১.৩০ মিনিট পর্যন্ত শেষ শ্রদ্ধার জানানোর পর ঢাকা জেলা প্রশাসন তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর রাজধানীর সবুজবাগ বরদেশ্বরী শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিকেল ৫টার পর সেখানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এ তথ্য জাগো নিউজকে জানিয়েছেন সুজেয় শ্যামের মেয়ে রুপা মঞ্জুরী শ্যাম লিজা।
Advertisement
সুজেয় শ্যাম ১৭ অক্টোবর দিনগত রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে মারা যান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে সুজেয় শ্যামের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। কিছুদিন আগে তার হৃদযন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়। এরপর সুজেয় শ্যামের শরীরের ভেতরে সংক্রমণ হয়। সংক্রমণ পরে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়াও তিনি ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন।
সংগীত পরিচালক ও সুরকার সুজেয় শ্যামের সুর করা গানগুলোর মধ্যে ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘রক্ত চাই রক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার জন্মভূমি’, ‘আয় রে চাষি মজুর কুলি’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’, ‘শোন রে তোরা শোন’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন সংগীত পরিচালক-সুরকার সুজেয় শ্যাম মারা গেছেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সুজেয় শ্যামের মরদেহমুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গানটির সুর করেছিলেন সুজেয় শ্যাম। গীতিকার শহীদুল আমিনের লেখা ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন তিনি।
Advertisement
সুজেয় শ্যাম সংগীতে অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং এর আগে ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন।
এমএমএফ/জিকেএস