অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য আমদানির প্রক্রিয়া বন্ধ করেছে ইসরায়েল। এরসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১২ জন এ তথ্য জানিয়েছে। মূলত ১১ অক্টোবর থেকে ব্যবসায়ীরা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কেনো সাড়া পাচ্ছেন না। এসব ব্যবসীয়রা গাজা ও পশ্চিমতীরের জন্য খাদ্য আমদানি করে থাকেন। যার জন্য প্রয়োজন হয় ইসরায়েলের অনুমোদন।
Advertisement
ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপের কারণে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে খাদ্য আমদানি সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর আগে কখনো গাজায় বাণিজ্যিকভাবে খাদ্য আমদানি বন্ধ হয়নি।
খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন দুইজন জানিয়েছেন, খাদ্য আমদানি থেকে রাজস্ব পাচ্ছে হামাস এমন ধারণার কারণেই ইসরায়েল বাণিজ্যিকভাবে খাদ্য আমদানি বন্ধ করেছে।
তবে হামাসের এক মুখপাত্র এমন অভিযোগ অস্বীকারে করেছেন।
Advertisement
এদিকে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি। ইরানের সম্পদকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হলে বা হামলা হলে আরও প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তারাও পাল্টা হামলা চালাবে। এর প্রেক্ষিতেই কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন হোসেইন সালামি।
তিনি ইসরায়েলকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা যদি ভুল করেন এবং আমাদের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেন, কোনো অঞ্চলে হোক বা ইরান হোক, আমরা আপনাদের কঠোর ভাবে আঘাত করবো। গত মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহসহ আইআরজিসির এক জেনারেলও নিহত হন। তার শেষকৃত্যে অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন হোসেইন সালামি।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম
Advertisement