পাকিস্তানের নামও মুখে আনতে চায় না বিদেশি কোন ক্রিকেট দল। এমনকি কেনিয়া, আফগানিস্তান পর্যন্ত পাকিস্তানে সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়। যেখানে মুড়ি-মুড়কির মতো ফুটতে থাকে বুলেট-বোমা, সেখানে গিয়ে সাদা চামড়ার কেই`বা কোচের চাকরি করতে চাইবে? জীবনের মায়া তো সবারই আছে। যে কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নানা অজুহাতে পাকিস্তানের কোচের চাকরি করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন পিটার মুরস এবং স্টুয়ার্ট ল।সে জায়গায় হঠাৎ করেই পাকিস্তানের কোচ হতে রাজি হয়ে গেলেন মিকি আর্থার! এটা যে সত্যি সাহসী এক সিদ্ধান্ত তা মুখ ফুটে বলতে বাধলো না সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার বাজিদ খানের। তিনি সরাসরিই বলে দিলেন, `মিকি আর্থারের সাহস আছে বটে।`বাজিদ খান বলেন, `মিকি অবশ্যই সাহসী এক মানুষ। কারণ চরম অনিশ্চয়তায় থাকা কঠিন একটি কাজ করতে রাজি হয়েছেন তিনি।` যে কোন প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের কোচের চাকরি কিন্তু খুবই কাংখিত। এই চাকরিটি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে অনেকেই। আর সেটা যদি পাকিস্তানের মত কোন দেশের হয় তো, তাহলে কোন কথাই নেই।তবে বাজিদ খান মনে করেন, এই মুহূর্তে পাকিস্তান কোচের চাকরি কোনমতেই কারও কাছে কাংখিত হতে পারে না। পরিস্থিতি এখন এমন এক পর্যায়ে যে, এই চাকরিটি আর কাংখিত নয়। শুধু জীবনের ঝুঁকিই নয়, পাকিস্তান ক্রিকেট দল কোন সিরিজ খেলতে গেলে যে চাপ থাকে, সেটা বড় একটি সমস্যা এখন কোচদের জন্য। হোক সেই চাপ ছোট কিংবা বড়- তবুও বড় প্রশ্নের সম্মুখিত হতে হয় পাকিস্তান ক্রিকেট কোচকে।`আইএইচএস/এবিএস
Advertisement