আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের অভিযোগে চার বাংলাদেশি আটক

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা (বিএসএফ) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৪ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে। ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের সহায়তা করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে আরও এক ভারতীয় নাগরিককে।

Advertisement

বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ৪ বাংলাদেশি নাগরিক ভুয়া আঁধার কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।

গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৭৩তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা।

অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে প্রবেশ করে চেন্নাইয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

বিএসএফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে বামনাবাদ ফাঁড়িতে বিএসএফের কর্মীরা আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিল ৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। তড়িঘড়ি করে বিএসএফ জওয়ানরা ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দিকে এগিয়ে যায়।

৫ জন সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারি জোর করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করে। সে সময় বিএসএফের জওয়ানরা পদক্ষেপ নেয়। ফলে অনুপ্রবেশকারীরা ছড়িয়ে পড়ে এবং লম্বা ঘাসের আড়ালে লুকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিএসএফের কুইক রেসপন্স টিমের (কিউআরটি) সদস্যরা তৎপরতার সঙ্গে সেখানে অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়।

অনুপ্রবেশকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বামনাবাদ সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পাঁচজনের মধ্যে একজন ভারতীয় দালাল এবং বাকি চারজন বাংলাদেশি নাগরিক।

আটক হওয়া ভারতীয় দালাল স্বীকার করেছে যে, সে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশে সহায়তা করতে এসেছিল। ভারতে সফলভাবে অনুপ্রবেশ করাতে পারলে তাকে জনপ্রতি ৪ হাজার রুপি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

Advertisement

ওই বাংলাদেশি নাগরিকরা জিজ্ঞাসাবাদের পর জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার এক বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে জাল ভারতীয় আধার কার্ড সংগ্রহ করেছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাণীনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ডিডি/টিটিএন