আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচনে মনোয়নপত্র জমা পড়েছিল ৫২টি। বুধবার ছিল মনোয়নপত্র যাচাই-বাছাই। সভাপতি পদে একটি ও সহসভাপতি পদে একটি মনোয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৫০টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে।
Advertisement
তবে যাচাই-বাছাইয়ের সময় একাধিক পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ব্যক্তিদের একটি ফরম তুলে নিতে বাধ্য করা নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য ১৯ ও ২০ অক্টোবর সময় থাকলেও কেনো আগেই এ কাজটি করেছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল।
দু’জন একাধিক পদে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে আছেন সাবেক ফুটবলার ও বাফুফের সাবেক সদস্য ইকবাল হোসেন। ‘আমাকে নির্বাচন কমিশন থেকে ফোন দিয়ে বিকেলে হাজির হতে বলেছিল। তারা একটি পদের মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বললে আমি সহসভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’
মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করার নির্ধারিত দিন ১৯ ও ২০ অক্টোবর। তাহলে আজকে কেন তারা প্রত্যাহারের কথা বলেছেন? ‘আমি বুঝলাম না। আমি বলেছিলাম সময় তো আছে। তারা মানছিল না। তাই আমি একটি মনোনয়নপত্র তুলে নিয়েছি’- বলছিলেন ইকবাল হোসেন।
Advertisement
নির্বাচন বিধিমালায় কি আছে? ইকবাল হোসেনের জবাব, ‘আমি পড়ে দেখিনি।’
বাফুফের নির্বাচন যে বিধিমালায় হচ্ছে সেখানে ধারা-৬ এর ১১ নম্বরে আছে, ‘প্রার্থীগণ নির্বাচনী তফশিলে বর্ণিত সময় অনুযায়ী স্বাক্ষরযুক্ত আবেদনের মাধ্যমে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রত্যাহারকারীদের নাম ব্যালট পেপারে অন্তর্ভূক্ত হবে না।’
এই ধারামতে কোনো প্রার্থী ১৯ ও ২০ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। একাধিক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলে তাদের বাড়তি ফরম প্রত্যাহার সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ নেই বলেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বিধিমালায় বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই বলেই একাধিক মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীদের ফোন করে এবং বার্তা প্রেরণ করে জানাতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। বিধিমালায় সবকিছু পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকলে প্রার্থীদের ডেকে আনার প্রয়োজন হতো না। বিধি অনুসরণ করেই প্রার্থীরা তাদের করণীয় ঠিক করতে পারতেন। যে কোনো নির্বাচনে যেটা হয়ে থাকে।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/