দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠা বিচারপতিদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিচারপতিরা বা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
Advertisement
এর আগে বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ছয় বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন।
তারা হলেন বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন।
তবে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক বিচারপতি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কিন্তু তাদের মধ্যে এক বিচারপতি আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
Advertisement
হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি চলছে। এই কর্মসূচির মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান। আরও শোনা যাচ্ছে ২৫ জন বিচারপতিকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এ উপলক্ষে প্রধান বিচারপতির আজকের দিনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ বিভাগ ও রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করে কিছু বলেননি।
জানা গেছে, আমন্ত্রণ পাওয়া বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তারা পেশাদার আচরণের বদলে সাবেক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। তাদের স্লোগান ও অবস্থান কর্মসূচিতে উত্তাল পুরো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়।
Advertisement
এফএইচ/এসএনআর/এমএইচআর/এএসএম