ধর্ম

কোম্পানির পক্ষ থেকে হজে পাঠালে ফরজ হজ আদায় হবে?

অনেক কোম্পানি প্রতি বছর তাদের অর্থায়নে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে হজে পাঠায়। লটারি বা অন্য কোনো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত হয় কারা হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

Advertisement

এ রকম হজে পাঠানো নিয়ে সাধারণ দুটি প্রশ্ন ওঠে। ১. এভাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে হজে পাঠানো হলে ফরজ হজ আদায় হবে কি না? ২. লটারির মাধ্যমে ব্যক্তি নির্বাচনে কোনো বিধি নিষেধ আছে কিনা?

প্রথম প্রশ্নের উত্তর হলো, ফরজ হজ আদায় হওয়ার জন্য নিজের খরচে হজ করা জরুরি নয়। অন্যের খরচে হজ করলেও ফরজ হজ আদায় হয়ে যায় যদি তার বদলি হজ করানোর নিয়ত না থাকে।

তাই কোম্পানি বা এর মালিকের যদি বদলি হজ করানোর নিয়ত না থাকে, বরং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হজ করানোই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে এভাবে হজে যাওয়ার সুযোগ পেলে এবং হজ করলে ফরজ হজ আদায় হয়ে যাবে।

Advertisement

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজের অর্থে হজে যাওয়ার সামর্থ্য না থাকা অবস্থায় যদি কোম্পানি হজে পাঠায়, তাহলে ওই হজ তার ফরজ হজ গণ্য হবে। সামর্থ্য হওয়ার পর নতুন করে হজ করা জরুরি নয়। একইভাবে নিজের সামর্থ্য থাকার পরও কোম্পানির খরচে হজ করলে ফরজ হজ আদায় হয়ে যাবে। নিজের খরচে নতুন করে হজ করা জরুরি নয়।

তবে যদি কেউ ইচ্ছা করে ইহরাম বাঁধার সময় নফল হজ আদায়ের নিয়ত করে, তাহলে তার ফরজ হজ আদায় হবে না। তবে সাধারণ হজের নিয়তে করলে ফরজ হজই আদায় হবে।

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হলো, যেহেতু কোম্পানি একক অর্থায়নে হজে পাঠাচ্ছে, তাই হজে কাকে পাঠানো হবে তা লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করতে সমস্যা নেই। এ ক্ষেত্রে শরিয়তের কোনো বিধিনিষেধ নেই।

উল্লেখ্য, কেউ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে হজে পাঠায়, তাহলে বদলি হজের নিয়ত না করলেও সে হজের সওয়াব লাভ করবে বলে আশা করা যায়। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,

Advertisement

مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ

যে ব্যক্তি কোনো ভাল কাজের পথ দেখায় সে ওই কাজ সম্পাদনকারীর সমান সওয়াব পায়। (সহিহ মুসলিম: ১৮৯৩)

ওএফএফ/জেআইএম