ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৩ থেকে ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের সড়কবাতি বন্ধ রাখার ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেনের (চসিক) বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীর নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে সড়কবাতিকাণ্ডে ঝুলন দাশেরই দায়ভার আছে উল্লেখ করে তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পিডিবির তথ্য অনুযায়ী উল্লেখিত সময়ে বিদুৎ ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সড়কবাতি বন্ধ ছিল। বাতি নেভানোর ঘটনায় সরাসরি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি ঝুলন দাশের বিরুদ্ধে। তবে বিদ্যুৎ থাকার পরও সড়কবাতি বন্ধে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর দায়ভার রয়েছে বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি।
গত ১৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেন, আন্দোলন চলাকালে ৩ থেকে ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের সব সড়কবাতি বন্ধ রাখা হয়। সড়কবাতি বন্ধ রেখে রাতের আঁধারে ছাত্র-জনতার ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়। গুলিও করা হয়। এতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশের নির্দেশে সড়কবাতি বন্ধ করা হয়। তার বিচারের দাবিতে ওই দিন চসিক কার্যালয় ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
Advertisement
তাদের দাবির প্রেক্ষিতে পরদিন ১৪ আগস্ট ঝুলন কুমার দাশকে সাময়িক বরখাস্ত করে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করে চসিক। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর ‘বরখাস্তাদেশ’ মাথায় নিয়ে বদলি হন ওই কর্মকর্তা। ২৯ সেপ্টেম্বর চসিক থেকে ‘মুক্ত’ হয়ে যোগ দেন নতুন কর্মস্থল রংপুর সিটি করপোরেশনে। অভিযোগ রয়েছে, শাস্তি থেকে থেকে বাঁচতে তদবির করে দ্রুত চট্টগ্রাম ছাড়েন ঝুলন দাশ। বদলি আদেশে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি ছিল লুকোনো।
প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে চসিকের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘অভিযুক্ত প্রকৌশলী বর্তমানে চসিকে কর্মরত নেই। তাই আমরা সরাসরি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগকে আমরা অনুরোধ জানাবো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’
এএজেড/এমআইএইচএস/এএসএম
Advertisement