চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এবং বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া এলাকায় জ্বালানিবাহী জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ডকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। গত সপ্তাহে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক এ টি এম সেলিম বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক বরাবর এ চিঠি দেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাগো নিউজকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে এ চিঠি দেওয়ার পরও কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী দুটি ট্যাংকার জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
অতি জরুরি উল্লেখ করে বিপিসির ওই চিঠিতে বলা হয়, বিপিসি প্রতিমাসে প্রায় ১২-১৪টি জাহাজে পরিশোধিত জ্বালানি তেল এবং ১-২টি জাহাজে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। আমদানি করা জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ কুতুবদিয়া/ চট্টগ্রাম বহির্নোঙরে অবস্থান করে এবং লাইটারিং অপারেশন সম্পাদন করে থাকে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিপিসির আমদানিকৃত ক্রুড অয়েল বিএসসির নিজস্ব দুইটি ট্যাংকার জাহাজ এমটি বাংলার জ্যোতি ও এমটি বাংলার সৌরভ এর মাধ্যমে লাইটারিং হয়ে থাকে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমটি বাংলার জ্যোতি জাহাজ বিপিসির জেটিতে ক্রুড অয়েল খালাসকালীন এবং ৫ অক্টোবর এমটি বাংলার সৌরভ জাহাজ চট্টগ্রাম বহির্নোঙরের চার্লি অ্যাংকরেজে অবস্থানকালীন বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তেলবাহী দুটি জাহাজে দুর্ঘটনার বিষয়টি উদ্বেগজনক। এ প্রেক্ষিতে জ্বালানি তেল কৌশলগত পণ্য বিবেচনায় কুতুবদিয়া/চট্টগ্রাম বহির্নোঙরে আগমনকালী ও অবস্থানরত জ্বালানি তেলবাহী দেশি-বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
জ্বালানি নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ধারা বজায় রাখা এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করার লক্ষ্যে জ্বালানি তেলবাহী মাদার ট্যাংকার এবং লাইটারিং কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলার জ্যোতিতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে তিনজন এবং বাংলার সৌরভে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন প্রাণ হারান। এ ঘটনায় জাহাজ দুটিতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।
পাশাপাশি গত ১৩ অক্টোবর দিনগত রাতে কুতুবদিয়ায় ক্যাপ্টেন নিকোলাস এবং এলপিজি সোফিয়া নামে এলপিজিবাহী দুটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এমডিআইএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম
Advertisement