সিলেট অঞ্চলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আবেদন ঝুলে আছে চার লাখ ৯ হাজার ৭৮৬টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম খানের ক্যাটাগরিতে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সিলেট অঞ্চলের এনআইডি সেবার অগ্রগতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন বিষয় ওঠে এসেছে।
ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলমের দেওয়া এক প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলে আবেদন ঝুলে আছে চার লাখ ৯ হাজার ৭৮৬টি। এর মধ্যে ‘ক’ ক্যাটাগরি নয় হাজার ৩০৮ টি, ‘ক-১’ ক্যাটাগরির ৮৮৫টি, ‘ক’ ক্যাটাগরিতে আছে ৫৮ হাজার ৯৪৭টি, ‘খ-১’ ক্যাটাগরিতে আছে ছয় হাজার ২৮০টি, ‘গ’ ক্যাটাগরির এক লাখ ৬৩ হাজার ৬২৬টি, ‘গ-১’ ক্যাটাগরির ৮৬৩টি ও ‘ঘ’ ক্যাটাগরির নয় হাজার ৯৩৫টি আবেদন ঝুলে আছে। এছাড়া ক্যাটাগরি করা হয়নি এমন আবেদনের সংখ্যা ২৯ হাজার ৯৩৯টি।
‘ক’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করেন থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ‘ক-১’ ক্যাটাগরি নিষ্পত্তি করেন সহকারী থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ‘খ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করে থাকেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ‘খ-১’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করে থাকেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
Advertisement
এছাড়া ‘গ’ ও ‘গ-১’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করে থাকেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। ‘ঘ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির এখতিয়ার এনআইডি মহাপরিচালকের।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন মো. আব্দুল হালিম। তার এখতিয়ার ভুক্ত অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা এক লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৯টি। গত চার মাসে তিনি নিষ্পন্ন করেছেন প্রায় পাঁচ হাজার আবেদন।
আরও পড়ুন এনআইডি সংশোধন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ ইসি সচিবেরএদিকে ‘সেন্ড ব্যাক টু সিটিজেন’ ক্যাটাগরিতে আছে ঝুলে আছে ২৪ হাজার ৭৭০টি আবেদন, তদন্তাধীন ৬৫ হাজার ৩৯৮টি আবেদন, শুনানির অপেক্ষায় আছে ১২ হাজার ৬৭১টি আবেদন এবং অতিরিক্ত দলিলাদি প্রয়োজন এমন আবেদনের সংখ্যা ২৭ হাজার ২৩৪টি।
এ বিষয়ে ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, আমরা তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) যদি পরিবর্তন করতে হয়, আমরা সেটাও করবো। এখন এনআইডি আবেদন তো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। আমরা যেভাবে অঞ্চল ভেদে বৈঠক করছি এটা তো আগে সেভাবে হয়নি।
Advertisement
তিনি বলেন, দুর্নীতির পথটা বন্ধ করি আগে। আমি তো এখানে বসে দেখতে পারছি, তার ওখানে কয়টা ঝুলে আছে। আমরা এখন সবগুলো টাইমলাইন করে দিচ্ছি। নির্ধারিত তারিখ করে দিচ্ছি যে, এতদিনের মধ্যে অবশ্যই নিষ্পত্তি করতে হবে। জেলা এবং উপজেলায় কোনো সেবার ক্ষেত্রে কতদিন তার আমরা ফিক্সড করে দেবো যেন বছরের পর ফেলে রাখতে না পারে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সবাই তো আর খারাপ না। ১০ আঞ্চলিক কর্মকর্তার মধ্যে যদি দুজন ভালো না হন, তাহলে তো তিনি নিজেই নিজের প্যাঁচে পড়বেন। মানুষকে কোনো হেসেল ছাড়া নির্বিঘ্নে সেবা দিতে হবে। ২০১৫ সাল থেকে যে আবেদন পড়ে আছে, সেটা যদি আমরা আগেই বলে দেই যে ওটা দেওয়ার সুযোগ নেই, তাহলেও অনেক আবেদন নিষ্পত্তি হয়।
এমওএস/ইএ/এএসএম