দেশজুড়ে

অতিরিক্ত মদপানে মামা-ভাগনের মৃত্যুর অভিযোগ

নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রতিমা বিসর্জনের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রহস্যজনকভাবে মামা-ভাগনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আবির পাল (২৩) ও শান্ত দাস (২৪) নামের আরও দুইজন।

Advertisement

মৃত চৈতন্য সরকার (২৫) পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারপড়া মহল্লার গণেশ সরকারের ছেলে এবং অপরজন কিরণ হালদার (২৯) সুকুমার হালদারের ছেলে। বিজয়া দশমীর দিন চৈতন্য, কিরণ, আবির ও শান্ত একই নৌকায় ছিলেন।

জানা যায়, অতিরিক্ত মদ্যপানে চৈতন্য ও তার মামা কিরণ হালদারের মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে। সোমবার ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর চৈতন্যর মৃত্যু ঘটে। দুপুরে তার মরদেহ দাহ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন মামা কিরণ হালদারও। কিরণকে তাৎক্ষণিক রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে সন্ধ্যার পর তার মৃত্যু হয়। ছেলে ও শ্যালকের অকাল মৃত্যুতে গণেশের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে চৈতন্য নামের ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

তবে অতিরিক্ত মদ্যপানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চৈতন্যের চাচাতো ভাই নরোত্তম সরকার।

স্থানীয়রা জানান, এর আগেও বিজয়া দশমীতে একই এলাকায় মদ্যপানে অনীল দাসের ছেলে অখিল দাস ও নিতাই ঘোষের ছেলে অপু ঘোষের মৃত্যু হয়। স্থানীয় এক মদ বিক্রেতার বিক্রি করা মদপানে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন এলাকার অনেকেই।

অসুস্থ আবির পালের বাবা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসীম পাল বলেন, দশমীর রাত থেকে ছেলে আবীর পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুরু হয় বমি-পায়খানা। তার ছেলে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে আবির মদপান করেনি বলে দাবি করেন তিনি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, মদপানে মৃত্যুর বিষয়ে অভিযোগ না পাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Advertisement

রেজাউল করিম রেজা/এফএ/এএসএম