স্বাস্থ্য

ডেঙ্গু কেড়ে নিলো আরও ৮ প্রাণ, একদিনে হাসপাতালে ১১০৮ জন

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আটজন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৩ জনে।

Advertisement

এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে এক হাজার ১০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৬৪ জন।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ১০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৩৩৮ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১৩৭ জন।

Advertisement

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৬৪ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬১ জন। মারা গেছেন ২২৩ জন।

আরও পড়ুনশিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কী কী ও কখন হাসপাতালে নেবেন? জ্বর-মাথাব্যথাসহ কোন লক্ষণ দেখলে দ্রুত ডেঙ্গু টেস্ট করবেন 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৮১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৭৪, খুলনা বিভাগে ১২২ জন রয়েছেন। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ৩০, রাজশাহী বিভাগে ৫২, রংপুর বিভাগে ১৮ ও সিলেট বিভাগে ৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। যার মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

গত বছর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন ডেঙ্গুরোগী। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন ডেঙ্গুতে মারা যান, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বাধিক মৃত্যু।

২০১৯ সালে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৩০০ জন মারা যান। ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম ছিল। পরের বছর ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান। ২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হন, যাদের মধ্যে ২৮১ জন মারা যান।

Advertisement

কেএসআর/এমএস