বসনিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত একজন। তার খোঁজে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলো।
Advertisement
গত ৪ অক্টোবর বসনিয়ার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের চারটি শহর-গ্রামে আঘাত হানে প্রবল ঝড় ও মুষলধারে বৃষ্টি। এতে বহু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ধ্বংস হয় এবং অনেক গ্রাম বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বন্যার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাবলানিকা গ্রাম। সেখানে ভূমিধসে ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। কাছাকাছি একটি পাহাড়ি খনির পাথর ধসে গ্রামটি চাপা পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের গত মঙ্গলবার একসঙ্গে গণকবর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বন্যার পরপরই প্রায় হাজারখানেক মানুষ আশপাশের শহর ও গ্রাম থেকে এসে জীবিতদের সন্ধান এবং ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে সাহায্য করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঝরাতে হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দের সঙ্গে বন্যার পানি ঘরবাড়ি ও সম্পদ ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে, এই বন্যায় জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নেরেতভা নদীও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবুজাভ নদীটি বন্যার ময়লা-আবর্জনায় পুরোপুরি ছেঁয়ে গেছে।
এই দুর্যোগের আগে রেকর্ড তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছিল বসনিয়া। একটানা তিনটি তাপপ্রবাহের কারণে গ্রীষ্মজুড়ে কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শুকনো মাটি বন্যার পানি শোষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, ফলে বন্যার তীব্রতা আরও বেড়েছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: এপি, ইউরোনিউজকেএএ/
Advertisement