বর্তমান পৃথিবীতে মুসলমানদের শোচনীয় অবস্থার জন্য মুসলমানদের অনৈক্য ও দ্বন্দ্বই দায়ী বলে মনে করেন সুপরিচিত ইসলাম প্রচারক ও আলোচক ডা. জাকির নায়েক। তিনি বলেন, মুসলমানদের মধ্যে ভেদাভেদ না থাকলে মুসলমানরাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরাশক্তি হতে পারতো।
Advertisement
সম্প্রতি পাকিস্তানের লাহোরে ঐতিহাসিক বাদশাহী মসজিদে এক কনফারেন্সে জাকির নায়েক এসব কথা বলেন।
জাকির নায়েক বলেন, বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা দু্ই বিলিয়নেরও বেশি। এরপরও ফিলিস্তিনিদের সবার সামনে হত্যা করা হচ্ছে। মুসলমানদের অনৈক্যের কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে।
মুসলমানদের ঐক্যের ব্যাপারে কোরআনের নির্দেশনা তুলে ধরে জাকির নায়েক বলেন, মুসলমানদের অবশ্যই ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
Advertisement
পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে এক মাসের সফরে এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন এই সুপরিচিত ইসলাম প্রচারক ও আলোচক। এ সময় তিনি দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে নানা ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
ভারতীয় ইসলামী চিন্তাবিদ, বক্তা ও লেখক ডা. জাকির নায়েকের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৮ অক্টোবর। তার পুরো নাম জাকির আব্দুল করিম নায়েক। পেশাগত জীবনে একজন ডাক্তার হলেও ১৯৯১ সাল থেকে তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচারে মনোনিবেশ করেন। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে পাণ্ডিত্ব ও অসাধারণ স্মৃতিশক্তির জন্য বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে তিনি বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন।
জাকির নায়েক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা যেটি পিস টিভি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।
নিজ দেশ ভারতে আইনি জটিলতার কারণে ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন জাকির নায়েক। সে বছর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক সন্ত্রাসী হামলা হয়। ওই হামলায় জড়িত এক সন্ত্রাসী ইউটিউবে জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে প্রভাবিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এই ইসলাম প্রচারকের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা) প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করে।
Advertisement
ওএফএফ/এমএস