দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আমির হোসেন আমু তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী ও আয়া নিয়োগে দুর্নীতি এবং অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া ঝালকাঠির এলজিইডি, শিক্ষাপ্রকৌশল, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সব প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজে মোটা অঙ্কের টাকা অনৈতিকভাবে তিনি আদায় করতেন।
আরও পড়ুনদুদকের জালে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামএছাড়া ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডে একটি প্লট (৭২৭/এ) ও কেয়ারী প্লাজায় দুটি ফ্ল্যাট, সাভারের বাটপাড়া মৌজায় ৪৮.৭২ লাখ টাকার অকৃষি জমি এবং মিরপুরের রূপনগরে ১ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের বাণিজ্যিক প্লট ও একটি গাড়ি রয়েছে।
Advertisement
এছাড়া তার নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ও অন্যান্য বিনিয়োগ পাওয়া যায় বলে দুদক সূত্রে জানা যায়। আমুর নামে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৮ টাকা ও তার নিজ নামে মোট ২০ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার ৮৩৮ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদের বাইরেও তার দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে দুদকের সোর্স সূত্রে জানা গেছে।
গত ১৪ আগস্ট ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে তিনি।
এসএম/ইএ/জেআইএম
Advertisement