বিনোদন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পে দীপা খন্দকার

আজকাল অভিনয়ে খুব বেশি নিয়মিত দেখা যায় না অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। সংসার আর সন্তান নিয়েই তিনি ব্যস্ত থাকছেন। তবে হুট হাট কিছু নাটক-টেলিছবিতে তিনি অভিনয় করেন ভালো লাগার তাগিদ থেকে। তেমনি সম্প্রতি কাজ করলেন ‘পুত্রযজ্ঞ’ নামের একটি নাটকে। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে নির্মিত বিশেষ এই নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পুত্রযজ্ঞ’ গল্প অবলম্বনে নির্মাণ করেছেন নাহিদ আহমেদ পিয়াল। চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। নাটকে দীপার পাশাপাশি আরো অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শশী, জিতু আহসান ও আরো অনেকে।এ নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে দীপা খন্দকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাহিত্য নির্ভর গল্পগুলোতে কাজ করতে সবসময়ই ভালো লাগে। এই নাটকেও অভিনয় করে তৃপ্তি পেয়েছি। কবিগুরুর গল্প বা চরিত্রুগুলো নিয়ে তো নতুন করে বলার কিছু নেই। শুধু বলবো, আমি চেষ্টা করেছি নিজের চরিত্রটা জীবন্ত করে তুলতে। আশা করি ভালো লাগবে সবার।’নাটকটির গল্পে দেখা যাবে- হদয় জয়ের সুতীক্ষ্ণ ক্ষমতা একজন পুরুষ মানুষের উপর শানিত করার ইচ্ছে অন্যায় হতে পারে। কিন্তু নিতান্ত অস্বাভাবিক নয়। বৈদ্যনাথের স্ত্রী বিনোদা তার সখীর দেবর নগেন্দ্র’র সাথে তাস খেলতে বসে হৃদয়ের সূক্ষ খেলা খেলতে লাগল। একদিন দুজনেই বুঝলো তাদের মনে মনে মিল হয়েছে। কিন্তু হলে কী হবে, বিনোদা’র স্বামী বৈদ্যনাথ তখন পুত্র লাভের আশায়, ভবিষ্যত ঐশর্য ভোগকারীর চিন্তায় মগ্ন। এরকম অবস্থায় একদিন সে খবর পেল তার স্ত্রীর নগেন্দ্র’র সাথে ঘনিষ্টতা হয়েছে। বৈদ্যনাথ তার ভবিষ্যত আবির্ভাব সম্ভাবনাকে অত্যন্ত সন্দেহজনক মনে করে বিনোদাকে ত্যাগ করল। রাতের আঁধারে বিনোদা ত্যাগ করল তার স্বামীর গৃহ। কিন্তু বিনোদা তখনও জানেনা, যে পুত্রলাভের আশায় তার স্বামী দিনরাত হাহাকার করছে, সেই পুত্র তখন তার গর্ভে। অর্থ্যাৎ স্ত্রী জন্মের মহাভাগ্য সে লাভ করেছে, তার স্বামীর পরলৌকিক সদ্গতি তার গর্ভে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। কিন্তু তারপর? বাকীটা জানতে চোখ রাখতে হবে দেশ টিভির পর্দায়। নাটকটি প্রচার হবে আগামীকাল রোববার, ৮ মে রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে। এলএ/এবিএস

Advertisement