অজু ভঙ্গের কারণসমূহের মধ্যে একটি হলো, শরীর থেকে প্রবাহিত রক্ত বের হওয়া। কোনো কারণে শরীরের যে কোনো জায়গা থেকে যদি রক্ত বের হয়ে গড়িয়ে পড়ে অথবা গড়িয়ে পড়বে এই পরিমাণ তরল রক্ত বের হয়, তাহলে অজু ভেঙে যায়।
Advertisement
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস পরীক্ষার সময় রক্তে সুগারের পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য একটি সূক্ষ্ম সুঁইয়ের সাহায্যে আঙুলের ডগায় খোঁচা দেওয়া হয়। রক্ত বেরিয়ে আসলে টেস্টিং স্ট্রিপে এক ফোঁটা রক্ত নিয়ে সেটি মেশিনে ঢুকিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ডায়াবেটিস পরীক্ষার সময় যদি গড়িয়ে পড়বে এই পরিমাণ রক্ত বের না হয়, তাহলে অজু ভাঙবে না। আর যদি খোঁচা লেগে গড়িয়ে পড়বে এই পরিমাণ রক্ত বের হয়, তাহলে অজু ভেঙে যাবে।
হাসপাতালে ডায়াবেটিস পরীক্ষার সময় ইনজেকশনের সাহায্যে রক্ত সংগ্রহ করা হলে গড়িয়ে পড়বে এই পরিমাণ রক্তই বের করা হয়, তাই ইনজেকশনের সাহায্যে রক্ত সংগ্রহ করে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হলে অজু ভেঙে যাবে।
যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়১. পেশাব ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে পেশাব, পায়খানা, বাতাস, ক্রিমি ইত্যাদিসহ যে কোনো কিছু বের হলে অজু ভেঙে যায়।
Advertisement
২. শরীরে যে কোনো জায়গা থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে অজু ভেঙে যায়।
৩. খাবার, পানি, রক্ত বা পিতের পানি মুখ ভরে বমি হলে অজু ভেঙে যাবে। অল্প অল্প করে কয়েক বার যদি বমি হয় এবং সবগুলোর মিলিত পরিমাণ যদি মুখ ভরে কৃত বমির সমান হয়, তাহলেও অজু ভেঙে যায়।
৪. দাঁত বা মাড়ি থেকে অল্প রক্ত বের হলে অজু ভাঙবে না। কিন্তু যদি বেশি রক্ত বের হয়, থুথু ফেললে যদি দেখা যায় থুথুর চেয়ে রক্তের পরিমাণ বেশি, তাহলে অজু ভেঙে যায়।
৫. যৌনাঙ্গ থেকে মযী (অর্থাৎ যৌন উত্তেজনার সময় বীর্য বের হওয়ার আগে সাধারণত যা নির্গত হয়) বের হলে অজু ভেঙে যায়।
Advertisement
৬. নারীদের যৌনাঙ্গ থেকে ইস্তেহাযার রক্ত বের হলে অজু ভেঙে যায়। (হায়েয নেফাস ছাড়া কোনো অসুস্থতার কারণে নারীদের যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হলে তাকে ইস্তেহাযা বলা হয়।)
৭. নারীদের স্তন থেকে দুধ ছাড়া অন্য কিছু যেমন রক্ত, পূজ বা শরীরের রস বের হলে অজু ভেঙে যায়।
৮. নারীরা নিজেদের যৌনাঙ্গে আঙুল প্রবেশ করালে অজু ভেঙে যায়।
ওএফএফ/জেআইএম